মনির খান, স্টাফ রিপোর্টার: লোহাগড়া উপজেলার ইশানগাতী গ্রামের আদম বেপারী ফেরদৌস গত ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে আসে। বাংলাদেশে আসার সময় সৌদি প্রবাসী কুমিল্লা বি বাড়িয়ার এক সহকর্মীর ২ টি স্বর্ণের বার ও দুইটি স্বর্ণের রুলি ওই সৌদি প্রবাসী লোহাগড়ার ইশানগাতী গ্রামের ফেরদৌসের কাছে পাঠায়, এবং ফেরদৌস কে বলে দেয়,

ঢাকা তে আমার পুলিশ ভাই আছে আপনার সাথে যোগাযোগ করে স্বর্ণের ২ টি বার ও স্বর্ণের ২ টি রুলি আপনার কাছ থেকে নিয়ে যাবে। লোহাগড়ার ইশানগাতী গ্রামের ফেরদৌস সৌদি হতে বাংলাদেশে আসার পর বি’বাড়িয়ার ওই সহকর্মীর আপন ভাই ঢাকা সিটিতে কর্মরত পুলিশ সদস্য তিনি লোহাগড়ার ফেরদৌসের সাথে যোগাযোগ করলে, ফেরদৌস ওই পুলিশ সদস্য কে লোহাগড়াতে আসতে বলে,

এবং তিনি যথারীতি আসে ও ফেরদৌসের সাথে দেখা করে, ফেরদৌস তাকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্বর্ণের বার ২টি ও স্বর্ণের রুলি ২টি দিবে বলে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পার করে, এবং ফেরদৌসের মাস্টার প্ল্যানে ভাড়াটিয়া মাস্তান ঠিক করে ওই মাস্তান দিয়ে পুলিশ সদস্য ও তার সাথে আসা আর একজন কে উত্তম মাধ্যম মারধর করে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।

ঘটনাটি লোহাগড়া থানা পুলিশ কে অবগত করিলে, লোহাগড়া থানা পুলিশ অভিযুক্ত ফেরদৌস কে ও তার ভাড়াটিয়া মাস্তান ২ জন কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত আদম বেপারী স্বর্ণ আত্মসাৎকারী ফেরদৌসের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লোহাগড়া সোনালী ব্যাংকের নিচে অবস্থিত স্বর্ণলতা জুয়েলার্স থেকে ১ টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

স্বর্ণের বারটি ফেরদৌস ৪ লক্ষ টাকার বিনিময় বিক্রি করার উদ্দেশ্যে স্বর্ণলতা জুয়েলার্সের মালিক বিশ্বর কাছে রেখেছিল। এবং স্বর্ণের বারটির কাগজপত্র দেখাইয়া বাকি টাকা পরের দিন নেওয়ার কথা ছিল বলে জানা যায়‌। কিন্তু তার পূর্বেই লোহাগড়া থানা পুলিশের এস আই রবিউল ইসলাম, এএস আই মাহাফুজ ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে স্বর্ণের বারটি উদ্ধার করে আনতে সক্ষম হন।

ও স্বর্ণ আত্মসাৎ কারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন বলে ও জানা যায়। নাম না বলতে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন লোহাগড়া বাজারে কিছু কিছু অ সাধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী আছে, নামে মাত্র স্বর্ণ ব্যবসায়ী কামে আসলে তারা সুদের কারবারি। তার মধ্যে স্বর্ণলতা জুয়েলার্সের মালিক বিশ্ব একজন।

অতি লোভে তাঁতি নষ্ট ৪ লক্ষ টাকার স্বর্ণের বার হল বিনষ্ট। লোহাগড়ার কিছু কিছু মানুষ স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছে স্বর্ণ রেখে টাকা নিয়ে জিম্মি হয়ে যায়, সময় মত টাকা পরিশোধ না করতে পারায় চক্রবৃদ্ধি সুদে কিছুদিন পরে ওই স্বর্ণ সুদখোরদের হয়ে যায়। এমনটি অভিযোগ অনেকেরই।

অবৈধ ভাবে স্বর্ণের বার ক্রয় করে ওই সমস্ত অসাধু স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা কোটিপতি বনে যাচ্ছেন বলে ও জানা যায়। লোহাগড়ার সুশীল সমাজের মানুষ সুদখোরদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।